ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি

স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্ন আসতে পারে – ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি লিখো। এক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী এই প্রশ্নটির উত্তর যেভাবে প্রদান করবে তার একটি নমুনা এই ব্লগে উপস্থাপন করা হলো।
প্রিয় বন্ধু,
আশা করি ভালো আছো। তোমাকে জানাতে চাই, গত সপ্তাহে আমি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ‘সোনারগাঁও’ ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম। ভ্রমণটি ছিল অসাধারণ এবং আমি এই ভ্রমণের মাধ্যমে অনেক নতুন জিনিস শিখেছি।
সোনারগাঁও ঢাকা থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। একসময় এটি বাংলার রাজধানী ছিল। সোনারগাঁও-এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান হলো ‘পানাম নগর’। এটি একটি প্রাচীন প্রাসাদ কমপ্লেক্স। প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ, মসজিদ, সমাধি এবং অন্যান্য স্থাপত্য নিদর্শন দেখে মনে হলো যেন আমি অতীতে চলে গেছি।
আমরা ‘মসজিদের গোড়া’ নামক একটি মসজিদও দেখেছি। মসজিটির স্থাপত্যশৈলী একবারেই অসাধারণ। এছাড়াও, আমরা ‘বারিন্দো’ নামক একটি গ্রামে গিয়েছিলাম। সেখানে আমরা ঐতিহ্যবাহী বাংলা কাঠামো, টেরাকোটা, এবং কারুশিল্প দেখেছি।
সোনারগাঁও ভ্রমণের মাধ্যমে আমি বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য ও স্থাপত্যশৈলী দেখতে পেরেছি। ভ্রমণটি ছিল অত্যন্ত জ্ঞানব্যঞ্জক এবং আনন্দদায়ক। আমি অনেক নতুন জিনিস শিখেছি এবং বাংলার ইতিহাস সম্পর্কে আমার ধারণা আরও স্পষ্ট হয়েছে।
সোনারগাঁও ভ্রমণে আমি তোমাকে অনেক মিস করেছি। তুমি যদি কখনো সোনারগাঁও-এর কাছে থাকো, তবে অবশ্যই এই ঐতিহাসিক স্থানটি ভ্রমণ করবে।
শুভেচ্ছান্তে,
তোমার বন্ধু,
– মোহাম্মাদ আরিফ আজাদ
বন্ধুর কাছে চিঠি লেখার নিয়ম মূলত এটিই। কোনো শিক্ষার্থীকে যদি প্রশ্ন করা হয়- ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি লিখো। তবে আশাকরি উপরোক্ত নিয়মেই চিঠি লিখার মাধ্যমে সর্বোচ্চ নাম্বার নিশ্চিত করতে পারবে।